ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা, বৃটিশ দূতাবাসের স্টাফ প্রত্যাহার শুরু
Share on:
যুক্তরাজ্য সরকার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাস থেকে স্টাফ প্রত্যাহার শুরু করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তার দূতাবাসের স্টাফদের পরিবারের সদস্যদেরকে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
যুক্তরাজ্য সরকার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাস থেকে স্টাফ প্রত্যাহার শুরু করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তার দূতাবাসের স্টাফদের পরিবারের সদস্যদেরকে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
ইউক্রেনে রাশিয়া যেকোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় এসব ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে অবস্থানরত বৃটিশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। কিন্তু কিয়েভে যে পরিমাণ স্টাফ কাজ করছেন তার প্রায় অর্ধেককে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে বৃটেনে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ইউক্রেনে কোনো সামরিক হামলার পরিকল্পনার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। কিন্তু তাদের কথায় কোনো বিশ্বাস রাখতে পারছে না পশ্চিমারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জনগণকে ইউক্রেন এবং রাশিয়া সফরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।কারণ, রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যু এখন উত্তেজনাকর।
যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের পথ এখনই অনুসরণ করছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এর নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, উত্তেজনা নিয়ে তিনি নাটকীয়তা করবেন না। ওদিকে সামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক জোট ন্যাটোর প্রধান সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপে বড় একটি সংঘাতের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
প্রকাশ্যে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন সহ পশ্চিমা দেশগুলো। এরই মধ্যে তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ দেয়া শুরু হয়েছে।
গত শনিবার ( ২২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রায় ৯০ টন ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ গিয়ে পৌঁছেছে ইউক্রেনে। এর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেয়া সেনাদের জন্য রয়েছে অস্ত্রশস্ত্র, সামরিক সরঞ্জামাদি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদেমির পুতিন ইউক্রেনে মস্কোপন্থি একটি সরকার প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছেন বলে গতকাল রোববার ( ২৩ জানুয়ারি) অভিযোগ করেছে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সাবেক এমপি ইয়েভহেন মুরায়েভসহ মোট চারজনের একজনকে ইউক্রেনের ক্ষমতায় বসানোর তৎপরতা চালাচ্ছেন পুতিন। তবে এমন দাবিকে বাজেকথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মুরায়েভ।
এইচএন