একবিশংশ শতাব্দীতে যুবসমাজকেই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে : জুবায়ের
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, তরুণ ও তারুণ্য অপ্রতিরোধ ও দুর্জয়। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় অর্জন এসেছে তারুণ ও তারুণ্যের মাধ্যমেই। মূলত, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকবেলায় এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে যুব সমাজকেই অগ্রসৈনিককের ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার(৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষীপুর-৩ সদর আসন আয়োজিত ভার্চুয়াল যুব সম্মেলন-২৩-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, মূলত, যৌবনকাল হচ্ছে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে এক মহানেয়ামত। তাই এই নেয়ামতের যথাযথ সংরক্ষণ এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা সকল মুসলিম যুবকের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে রাসূল (সা.) মূল্যবান উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘পাঁচটি বস্তুকে পাঁচটি বস্তুর আগে গুরুত্ব দিবে এবং মূল্যবান মনে করবে। (১) বার্ধক্যের আগে যৌবনকে (২) অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে (৩) দারিদ্রের আগে সচ্ছলতাকে (৪) ব্যস্ততার আগে অবসরকে এবং (৫) মৃত্যুর আগে জীবনকে’।
বর্ণিত হাদিসে বার্ধক্যের আগে যৌবনকালকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যুব সম্প্রদায়কে তাদের যৌবনকালকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে এবং স্বীয় বিবেককে সদা জাগ্রত রাখতে হবে। যাতে করে কোনো অন্যায়-অনাচার, পাপাচার-দুরাচার ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড যৌবনকালকে কলঙ্কিত করতে না পারে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত লক্ষীপুর-৩ আসনকে একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি মাদক প্রবণ হওয়ায় আমরা মাদকবিরোধী জোরালো অবস্থান গ্রহণ করেছি এবং মাদকাশক্তি রোধে যুবসমাজকে আত্মসচেতন করার জন্য তাদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির নিরলস প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। একই সাথে যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি এবং প্রয়োজনে সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। মূলত, আমরা এই আসনকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি জামায়াতের মহতি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যুব সমাজকে কল্যাণের পথে যৌবনের উদ্যোগ ও শক্তিকে উৎসর্গ করতে হবে। যৌবনকালের ইবাদাত সর্বোত্তম ইবাদাত। পবিত্র কালামে হাকীমের সূরা আত তাওবাহর ৪১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তরুণ ও বৃদ্ধ সকল অবস্থায় বেরিয়ে পড় এবং তোমাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম পন্থা, যদি তোমরা বোঝ’। তাই যুব সমাজকে ঘরে বসে অবসর নেয়ার সুযোগ নেই বরং দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে তাদেরকে সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি সরকারের ভোট চুরির ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যুব সমাজকে ময়দানে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
সদর-৩ আসনের পরিচালক মাওলানা নাসির উদ্দীন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও লক্ষীপুর-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম,
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আব্দুল জব্বার, কুমিল্লা অঞ্চলের টীম সদস্য আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লক্ষীপুর জেলা আমির এস ইউ এম রুহুল আমির ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লক্ষীপুর জেলার নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্লাহ এবং সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নূরনবীসহ প্রমূখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি