দুদকের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
Share on:
বাংলাদেশ সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। বৈঠক বিষয়ে দুদক সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈঠকে বাংলাদেশে আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দর নেতৃত্বে ছিল চার সদস্যের টিম। আর দুদকের পক্ষে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং সংস্থাটির মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হকসহ চার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তি ঋণ ছাড় দেওয়ার আগে শর্ত পূরণ যাচাই করতে গত ৪ অক্টোবর ঢাকা সফরে আসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে কিছু শর্ত দেয়। পাশাপাশি দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথাও বলে।
এসব বিষয়ে খোঁজ নিতে বাংলাদেশ সফরে আসা আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত কতটা পূরণ হয়েছে এবং সরকারি বিভাগগুলো শর্ত পূরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। প্রতিনিধিদলটি এবারের সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড়ও করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঋণের শর্ত কতটা পূরণ হলো, তা দেখতে ঢাকা সফর করছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
এর আগে গত জুলাইয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করে। তখন বেশকিছু শর্তের কথা জানায় দাতা সংস্থাটি।
আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাতে পায় বাংলাদেশ।
চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় (২ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করে।
এমআই