বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড
Share on:
বিশ্ব বাজারে সরবারহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
বিশ্ব বাজারে সরবারহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
একদিকে বিশ্বব্যাপী বাড়তি চাহিদা অপরদিকে সীমান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপড়েন, এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সংবাদ-রয়টার্স।
তেলের দাম এরই মধ্যে ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ওএএনডিএ এর বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড মোয়া জানান, বর্তমান দাম ৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ শত ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায় তবে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে তেল রপ্তানি ও সরবরাহ দুটোই বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জানায়, উৎপাদন বৃদ্ধির পরও মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী দৈনিক তেলের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হবে তাদের। এমন তথ্য জানার পর বাজারের ওপর আরও চাপ বাড়ে।
আন্তর্জাতিক শক্তি এজেন্সি জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকেই তেলের উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান বেড়েই চলছে। ওপেক এর ১০ সদস্য দেশের মধ্যে ইরাকসহ ৭ টি দেশই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জে পি মরগানের বিশ্লেষকরা।
এদিকে, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন আশঙ্কা থেকেই ইউক্রেনগামী ফ্লাইট বাতিল কিংবা অন্যত্র পাঠাচ্ছে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহজুড়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরও অগ্রগতি না হওয়ায় রুশ আক্রমণ আসন্ন বলে আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্ব দাবি করে আসছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এমনকি, প্রতিবেশী বেলারুশেও রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে মহড়ার জন্য।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে উপস্থিত রুশ সেনা সমাবেশ ও সরঞ্জাম হামলার জন্য পর্যাপ্ত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেকোনো সময় আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন।
তবে, ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রুশ সরকার।
গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ডাচ এয়ারলাইন কেএলএম ঘোষণা দিয়েছে যে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে ফ্লাইট বাতিল থাকবে। দেশটির আকাশসীমা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সংবেদনশীলতা চরমে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেন রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করা হয়। এতে ২৯৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৯৮ জনই ছিলেন ডাচ নাগরিক।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনীয় চার্টার এয়ারলাইন স্কাইআপ জানিয়েছে, পর্তুগালের মাদেইরা থেকে কিয়েভ অভিমূখী ফ্লাই মলডোবার রাজধানীতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির ভাড়াদাতা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনের আকাশসীমায় ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র সার্হি নিকিফোরভ এ প্রসঙ্গে জানান, আকাশসীমা বন্ধ করা হয়নি।
অবকাঠামো মন্ত্রীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি এয়ারলাইন্স বীমার বাজারের ওঠানামার কারণে অসুবিধার মুখে পড়ছে।
এইচএন