জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া
Share on:
একমাস সিয়াম সাধনার পর সারা দেশে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া চাওয়া হয়।
ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের প্রায় লাখো মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিকে সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের জামাত শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে রাজধানীর পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে ঢুকেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহ ময়দানে যান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. নাঈম বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের এ আনন্দ শুরু হয় ঈদ জামাতের মধ্য দিয়ে। তাই অনেক মানুষের সঙ্গে ঈদের জামাত পড়তে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এসেছি। খুব খুশি লাগছে। সবার সঙ্গে বড় জামাতে নামাজ পড়ার আনন্দই আলাদা।
এনএইচ