দিল্লির সাথে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় বেইজিং
Share on:
বিগত কয়েক বছর ধরে সীমান্তে সেনা সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।
তবে দিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসন করে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং উই।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেন ভারত-চীনসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা।
এই সম্মেলনের বিরতির ফাঁকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ওয়াং উই।
বৈঠকে ওয়াং উই ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সন্দেহমূলক সম্পর্কের বদলে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এমনটি জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যার বেশিরভাগই অচিহ্নিত। এই সীমান্ত নিয়ে ১৯৬২ সালে স্বল্পকালীন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল দুই দেশ।
তবে ১৯৯০ সাল থেকে তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে। বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য সহায়ক দেশ হলো চীন।
কিন্তু ২০২০ সালে দুই দেশের সেনা সদস্যরা আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ালে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ওই বছর সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের ২০ ও চীনের ৪ সেনা নিহত হন।
ওই ঘটনার পর সামরিক ও শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর উত্তেজনা প্রশমিত হয়। তবে ভারতীয়রা বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেনি। তারা চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এছাড়া সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভারত-চীন উভয়েই অবস্থান শক্ত করতে সীমান্তে ভারী যান ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে।
যদিও চীন দাবি করে আসছে পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে নয়াদিল্লি এখনো বলে থাকে, চীন সীমান্তে উচ্চ ঝুঁকি বিরাজমান রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স
এন