বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না : ডা. শফিকুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশের যেসব মানুষ, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়ে পঙ্গু হয়েছেন, জেলে গিয়েছেন, তাদের সকলের ত্যাগ আল্লাহ পাক কবুল করুন এবং সবাইকে উপযুক্ত জাযা দান করুন।
মুক্তি অর্জন করতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে। বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া জানাচ্ছি। আমাদের দাওয়াতে এ ইফতার মাহফিলে যারা শামিল হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ পাক এ পবিত্র রমজান মাসে কুরআন নাজিল করেছেন। এ মাস অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে রয়েছে বরকতময় লাইলাতুল কদর। মহান রব পবিত্র কুরআনে প্রথমেই নাজিল করলেন ‘পড় তোমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে।’ মানুষের জ্ঞান অর্জনের জন্যই আল্লাহ এ আয়াত নাজিল করেছেন। আল্লাহ মানুষের জন্য তার হেদায়াত ও নেয়ামত পূর্ণ করে দিলেন। এ মাসেই বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। রাসূল সা. ছিলেন মানবজাতির জন্য রহমাতুল্লিল আলামীন। রাসূল সা. মক্কার লোকদের অত্যাচারে মদিনায় হিজরত করলেন এবং হিজরতের ৭ বছর পরে তিনি বিজয়ী হয়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন। তিনি হলেন শেষ নবি, তার পরে আর কোনো নবী আসবে না।
আমরা সকলের মঙ্গল কামনা করি। সকল রকম হঠকারিতা ও বিশৃঙ্খলা পরিহার করতে হবে। পায়ে পারা দিয়ে কেউ ঝগড়া করতে আসলে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের লোকদের যদি রাজনীতি করার অধিকার থাকে, তাহলে দেশের প্রতিটি নাগরিকেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। শুধু আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে আল্লাহ যেন আমাদের সকল বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেন। ইফতারের পূর্ব মূহূর্তে তিনি মাহফিলে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তিনি যেন আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সকল বাধা-বন্ধন থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। আমাদের দেশের আলেম সমাজ যেন আমাদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন সেজন্য আল্লাহ যেন তাদের যোগ্যতা বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার তাওফিক দান করুন। আজকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যে জুলুন-নিপীড়ন চলছে, আল্লাহ যেন তা থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন এবং তাদের বিজয় দান করেন। তিনি দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত শেষ করেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় এ মাহফিলে আগত মেহমানদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী জনাব আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব
আবদুল আউয়াল মিন্টু, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এড. মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জনাব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, জনাব আবদুস সালাম, জনাব জহিরুদ্দিন মুহাম্মাদ স্বপন, জনাব আতাউর রহমান ঢালী, জনাব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এড. মাসুদ উদ্দিন তালুকদার, এলডিপি-এর সভাপতি ড. কর্নেল অব. অলি আহমাদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার যুবাইর, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি জনাব নূরুল হক নূর, এসএম শাহজাহান কবির, দৈনিক নয়াদিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাবর, উপ-সম্পাদক (বার্তা) মাসুমুর রহমান খলিলী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, ইলিয়াস খান, নূরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ বাকের হোসাইন, সরদার ফরিদ আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম বর্ষিয়ান আলেমে দ্বীন জামিয়া ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক এবং ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, বাংলাদেশ নিজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণসেবা আন্দোলনের আমির মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি বিন ইয়ামিন (মহাসচিব গণসেবা আন্দোলন), খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফি, মহাসচিব ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের পরিচালক মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, জমিয়তে হিজবুল্লার কেন্দ্রীয় মুরুব্বী অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা মুহিউদ্দিন, জাতীয় খতিব পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী, ছরছিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মমিন নাসেরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা রফিকুল রহমান মাদানী।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব আব্দুর রব, জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ, জনাব মুবারক হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা আবদুল মান্নান, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ কেরামত আলী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের
সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
সাবেক বিচারপতি ফরিদ, এড. আবদুল করিম, এড. মাইনুদ্দিন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজলুল করিম, অধ্যাপক আবদুর রব, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, দৈনিক সংগ্রামের এমডি জনাব নূরুল আমিন, মেজর জেনারেল অব. আলমাস আমিন, কর্নেল অব. আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ