রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপের পর বুঝবেন সংলাপ ব্যর্থ না: আইনমন্ত্রী
Share on:
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ব্যর্থ নাকি সফল তা দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ব্যর্থ নাকি সফল তা দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলবো এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে নাকি সফল হচ্ছে, তা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আজ রোববার ( ২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ খুব একটা কাজে দেবে না। নির্বাচনে কমিশনে কারা থাকবেন সেই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
তারাই নিয়োগ পাবেন’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে দুটো কথা বলবো। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা আছে।
বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। আমরা মনে হয় তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটা করতেই পারেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপির উদ্দেশ্যে এই কথাই বলতে চাই, দেখেন দেশ হচ্ছে সবার ঊর্ধ্বে।
দেশের স্বার্থে আপনারা যদি এই সংলাপে আসেন, সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে, সবার জন্য ভালো হবে। সেটা যদি না করেন, তবে তা ওনাদের (বিএনপির) সিদ্ধান্ত।
’অনেকে বলেন টক্সিক সিচুয়েশন। ওনারা (বিএনপি) যদি মনে করেন, এটা টক্সিক সিচুয়েশন, তাহলে আমার মনে হয় টক্সিক সিচুয়েশন থেকে বেরোনোর জন্য ওনাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে আমরা মনে হয় সেটা পজিটিভ হবে,’ যোগ করেন আনিসুল হক।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন হলে কী এই প্রশ্নগুলো আসতো? এখনো আইন করার সুযোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই।
আইন হবে না এই কথা তো আমি বলিনি। আমি বলেছি, এই আইনটা হবে। এই আইনটা এমন একটা আইন হওয়া উচিত, যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটা সার্বজনীন আইন হলো না।
সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আইন হবে। কিন্তু এই যে কমিশন তা সংলাপের উপর নির্ভর করবে। দেখা যাক কী হয়।’
এইচএন