tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৯ পিএম

জাতিসংঘ মহাসচিবের ওপর চটলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি


Antoni-Zelonsky-2022

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন। এর আগে মস্কো সফর করবেন তিনি।


তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মস্কো সফর নিয়ে বেজায় চটেছেন জেলেনস্কি। ক্রেমলিনের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আগামী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অ্যান্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটি ভুল যে প্রথমে রাশিয়া সফর এরপর ইউক্রেন। রাজধানী কিয়েভে সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও বলেন, এ আদেশের মধ্যে কোনো ন্যায়বিচার এবং কোনো যুক্তি নেই।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে, মস্কোর রাস্তায় কোনো মরদেহ নেই। প্রথমে ইউক্রেনে যাওয়া যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে, জেলেনস্কি আবারও যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউক্রেন, রাশিয়া সফরের আগে অ্যান্তনিও গুতেরেস ২৫ এপ্রিল আঙ্কারা সফর করবেন। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আঙ্কারায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানাবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান।

তুরস্কই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে আসছে। এর আগে আঙ্কায় বৈঠকও করেন দুদেশের প্রতিনিধিরা। যদিও কোনো সুরাহা মেলেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে সরব ভূমিকা পালন করছে জাতিসংঘ। যুদ্ধ থামাতে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অ্যান্তনিও গুতেরেস চলতি সপ্তাহে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে এবং সেটি দূর করতেই জাতিসংঘ মহাসচিবের এমন পদক্ষেপ।

পশ্চিমারা রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও চীন এখনো রাশিয়ার আগ্রাসনে সরাসরি নিন্দা জ্ঞাপন করেনি।

এর আগে, গত ২৬ মার্চ গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে অল্প সময়ের জন্য কথা বলেন।

এদিকে, ইউক্রেন আগ্রাসন চালিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগের পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গুতেরেসের ফোনকল ধরেননি কিংবা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেননি। সূত্র: আল-জাজিরা।

এইচএন