বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, খাসি ১৩০০ টাকা
Share on:
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম ফের বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৭৫০ টাকা। এদিকে খাশির মাংস ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে গরুর মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
ঈদের কারণে গরুর দাম বাড়ছে জানিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, অধিক দামে গরু কিনতে হচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে তাদের মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গরুর মাংস সাড়ে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে গরুর দাম বেড়েছে। বিগত কয়েক দিনে হাটে আকারভেদে গরুর দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবহনভাড়া ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
এদিকে এ দফায় দাম বাড়ায় রাজধানীতে প্রতি কেজি মাংসের দাম চার মাসে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। কারণ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গরু মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। রমজানের আগে যা বেড়ে হয় ৭৫০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বৃহস্পিতবার সকালে মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। যেসব দোকানে দিনে একটি গরু জবাই করা হয়, আজ সেখানে তিন থেকে চারটি গরু জবাই করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দোকানের মূল্যতালিকায় গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি লিখে রাখা হয়েছে।
রামপুরা আল্লাহর দান মাংসের দোকানের জলিল মিয়া বলেন, ‘হাটে গরুর দাম বাড়তি। তাই মালিক বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করতে বলেছেন। গরুর দাম এত বাড়তি যে ৮০০ টাকা বিক্রি করলেও আমাদের পোষায় না।’
জলিল মিয়া আরও বলেন, ‘সোমবার (১৭ এপ্রিল) ৫ মণ ওজনের একটি গরু ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কিনেছি। এখন সেটা দুই লাখ চায়।’
এদিকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি। আর বকরির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শান্তিনগর বাজারে ইয়াসমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দামের কারণে সাধারণ সময়ে মাংস কেনা হয় না। ঈদের কারণে কিনছি। তবে পরিমাণে কম কিনেছে।’
এন