আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, মৃত ৩০
Share on:
খারাপ আকার ধারণ করেছে আসামের বন্যা পরিস্থিতি। লাগাতার বৃষ্টির জেরে এখনো পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ১৫ টি জেলা জুড়ে ১.৬১ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর এলাকায় ভূমিধসের জেরে পাঁচজন মানুষ মারা গিয়েছে বলে খবর। এদের মধ্যে একজন নারী, তাঁর তিন মেয়ে এবং তিন বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। মর্মান্তিক এই বন্যায় আসাম জুড়ে শোনা যাচ্ছে শুধুই হাহাকার এবং স্বজন হারানোর কান্না। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রেমাল রাজ্যে আঘাত হানার পর থেকে ভূমিধসের জেরে আসামে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ পৌঁছেছে । আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) অনুসারে, করিমগঞ্জ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা, যেখানে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ১৩৩ জন মানুষ বন্যা কবলিত। ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর পানি ইতিমধ্যেই ফুলে উঠেছে। টানা বৃষ্টির জেরে পানির স্তর আরও বাড়ছে। ব্রক্ষ্মপুত্রের শাখানদীগুলিও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
কামপুরের কপিলি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে, যা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। আইএমডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০ জুন পর্যন্ত আসাম এবং মেঘালয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আসামের রাজধানীও পানির তলায় চলে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই বন্যায় ১ হাজার ৩৭৮ হেক্টর ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে। ৫৪,৮৭৭ টি গবাদি পশুর জীবনও সংশয়ের মুখে পড়েছে । পানিতে নিমজ্জিত ৪৭০টি গ্রাম। বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাঁধ, রাস্তা, সেতু। বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৫১১৪ জন মানুষ ৪৩ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তবে উদ্বেগ কাটছে না কোনোভাবেই। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বনাথ, লখিমপুর, হোজাই, বোঙ্গাইগাঁও, নলবাড়ি, তামুলপুর, উদালগুড়ি, দররাং, ধেমাজি, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ, গোয়ালপাড়া, নগাঁও, চিরাং এবং কোকরাঝাড়।
এমএইচ