রেজা কিবরিয়ার চ্যালেঞ্জ!
Share on:
রেজা কিবরিয়া জানান, আমি এনবিআর থেকে কোন চিঠি পাইনি । কয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি- এমন একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিটি আমার হাতে পৌঁছানোর আগে তাদের হাতে কীভাবে গেল সেটাও একটা প্রশ্ন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া সম্পদ এবং কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন । তিনি নিজস্ব ফেসবুক পেইজে প্রচারিত এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ চ্যালেঞ্জ দেন।
রেজা কিবরিয়া জানান, আমি এনবিআর থেকে কোন চিঠি পাইনি । কয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি- এমন একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিটি আমার হাতে পৌঁছানোর আগে তাদের হাতে কীভাবে গেল সেটাও একটা প্রশ্ন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার এ সন্তান জানান, দুটি বিষয় বলা হয়েছে। প্রথমে সংসদ নির্বাচনের সময় আমি যে হিসাব দিয়েছি সেটার সঙ্গে আমার ট্যাক্সের হিসাবের তফাৎ আছে। সেটা হওয়ার কথা। কারণ নির্বাচনের সময় আমি সেই বছরে আইএমএফে চাকরি করতাম অনেক বড় বেতনে।
যেখানে পুরো বেতনের কথাই লিখেছি। এখন আমার বেতন কেন কমে গেছে সেই প্রশ্নের উত্তর হলো, আমি এখন আর আইএমএফে চাকরি করছি না।
আর আইএমএফের বেতনের ওপর এবং পেনশনের ওপর দুনিয়ার কোন দেশ ট্যাক্স বসাতে পারে না। এটা বাইরে থাকলেও ট্যাক্স ফ্রি, বাংলাদেশে আসলেও ট্যাক্স ফ্রি।
বাংলাদেশ সরকার ইউএন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফের বেতনের ওপর ট্যাক্স বসাতে পারে না। আমি যে তথ্যগুলো দিয়েছি সেগুলো সঠিক। খবরের কাগজে যা কিছু লিখেছে সবই মিথ্যা।
দুই ব্যাংক একাউন্টের বিষয়ে রেজা কিবরিয়া জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একাউন্টটি আমি ১০-১২ বছর আগে বন্ধ করেছি। সেটার হিসাব আমার দেয়ার কথা না মনে হয়। আরেকটা হলো ২-৩ বছর আগে এইচএসবিসি ব্যাংকের একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে।
তাই ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোন অবকাশ নাই। এনবিআরের কর্মকর্তারা ২ ব্যাংকে ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারতো বা একটা তথ্য জানতে পারতো যে উনার কোন একাউন্ট আছে কিনা।
তিনি আরও বলেন, আমি যে টাকা এনেছিলাম বিদেশ থেকে আইএমএফের মাধ্যমে সে টাকার উৎস পরিষ্কার। একদম হালাল পয়সা। ওই টাকা শেষ হয়ে গেছে। আমার সাংসারিক ও মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসায় তা খরচ হয়ে গেছে।
১৪টি ফ্ল্যাটের বিষয়ে তিনি জানান, তারা মনে হয় হিসাব করেছে বিল্ডিংয়ের হাইট দেখে। আসলে ১০টি ফ্ল্যাট আছে। তবে সবগুলো আমার নয়। আমার এবং আমার বোনের। সেগুলোর কাগজপত্রও এখনো আমার হাতে পৌঁছেনি।
নির্বাচনের সময় ঋণখেলাপি ঘোষণা বিষয়ে রেজা কিবরিয়া জানা, তারা বদনাম করতেই এই চেষ্টাটা করেছিল।
সিটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ওপর সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিলো। সেই সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার ভিত্তিতে আমাকের ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হলো এবং আমার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হলো। পরে সেটা আমি পরিশোধ করে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি।
কিন্তু আমি ঋণখেলাপি না এটাও একটা মানহানির বিষয়। তখন আমি কোন কেস করিনি। ইনশাআল্লাহ এবার এটা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তাদের হয়রানি করার জন্য এটা করা হয়। ট্যাক্সের বিষয়টি একই জিনিস। এটা আইয়ুব খানের সময় করা হতো।
অর্ধকোটি টাকার শেয়ারের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্ধকোটি টাকার শেয়ার পেলে আমি খুবই খুশি হবো যদি এনবিআর আমার টাকাটা উদ্ধার করে দেয়। আসল কথা হলো আমার নামে একটি টাকার শেয়ারও নেই।
সরকারের উদ্দেশে রেজা কিবরিয়া বলেন, তারা আমার মানহানি করার ব্যাপারে এত সক্রিয়। তাদের নিজেদের মানসম্মান রক্ষা করার একটা কঠিন সময় এসে গেছে আপনারা দেখতে পারছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
দেশে এবং বিদেশে তাদের কত মানহানি হবে এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমার মানসম্মান আমি রক্ষা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
কারণ আমি সততার সঙ্গে কাজ করেছি। এ ব্যাপারে আমার কোন দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু তারা নিজেদের মানসম্মান কিভাবে রক্ষা করবে এই ব্যাপারে একটু চিন্তা করলে মনে হয় ভালো হয়।
এইচএন