জাতিসংঘের অধিবেশনে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়
Share on:
জাতিসংঘের অধিবেশনে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ গুরুত্ব পাবে। এদিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য না হয়েও এবারের অধিবেশনে অংশ নিচ্ছে ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান জড়ো হচ্ছেন নিউইয়র্কে। শহরজুড়ে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর। উচ্চ পর্যায়ের এই বিতর্কে অংশ নিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জড়ো হতে শুরু করেছেন নিউইয়র্কে।
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে অতিথিদের নিরাপদ রাখা মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। কারণ, সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার দুটি ঘটনায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে সংস্থাটি। তাই এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে ঘিরে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কড়াকড়ি বেড়েছে জাতিসংঘ সদর দফতরের বাইরে।
এবারের অধিবেশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য না হয়েও অধিবেশনে অংশ নিচ্ছে তারা। চলতি বছরের মে মাসে সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য করতে পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪৩টি দেশ। তবে এর বিরোধীতা করে ইসরাইল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল অধিবেশনে গাজা যুদ্ধ ইস্যু ও দখলদার ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে পারবে ফিলিস্তিনি প্রশাসন।
এবারের সম্মেলনের মূল আহ্বান হচ্ছে একযোগে সহযোগিতা। কেবল সাময়িকভাবে সমস্যা সমাধান করতেই নয়, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকীকরণ করতেও গুরুত্ব দেয়া হবে; যাতে ভবিষ্যতের বৈশ্বিক হুমকির মোকাবিলা করা যায়।
বৈশ্বিক সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য, ঋণ বৃদ্ধি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণকে ‘উদ্বেগজনক বিষয়’ হিসেবে তুলে ধরেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ৭৯তম অধিবেশনে এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গঠন করা হয়েছিল জাতিসংঘ। সংস্থাটির প্রধান নীতিনির্ধারণী অংশ সাধারণ পরিষদ।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের সদস্য সব দেশের নেতারা বৈঠকে বসেন। আলোচনা করেন বৈশ্বিক নানা ইস্যু নিয়ে।
এসএম