একমাসে রপ্তানি আয় কমেছে সাড়ে ১৬ শতাংশ
Share on:
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে দেশের রপ্তানি আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সবশেষ মাস এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারার পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে রপ্তানি আয়। এর আগের মাস মার্চেও রপ্তানি আয়ে আড়াই শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল।
আলোচ্য মাস এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের পণ্য।
বুধবার (৩ মে) পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি)। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫শ কোটি ডলারের বেশি। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ অর্জন করা যায়নি।
ইপিবির প্রকাশিক সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এবার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
আলোচ্য সময়ে (জুলাই–এপ্রিল) তিন হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি।
গত মার্চ পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। তবে এপ্রিল শেষে এই খাতের রপ্তানিও নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। এ খাতে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে একশ কোটি ডলারে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ কম। এছাড়া কৃষিজাত পণ্যে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এমআই