জয়পুরহাটে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ
Share on:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে চলে আসা সংকট নিরসনে দু’পক্ষের উঠান বৈঠকে কুসুম্বা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারিক দুলাল দৈনিক দেশের কণ্ঠের সাংবাদিক আহসান হাবিবকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে ভুক্তোভূগী দাবি করেন।
গতকাল (বুধবার) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
আহসান হাবিব জানান, দু’পক্ষের পারিবারিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে বাকযুদ্ধের মাধ্যমে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেখানে বিবাদ মিমাংসার জন্য গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আমাকেও ডাকা হয়। তখন রাত আনুমানিক ৯ টা। আলোচনার শেষ পর্যয়ে বৈঠক স্থলের মালিক সাইফুল ইসলাম সাবেক মেম্বার আব্দুল বারিক দুলাল ও তার সহযোগীদের কৌশলে বাড়িতে ঢুকান। ততক্ষণে কিছু লোকজন বৈঠক থেকে উঠে যান। সে সুযোগে বাড়ির দু’দিকের দরজা তালাবদ্ধ করে আমার ও জোবায়ের হোসেনের উপরে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি চার্জ করে। আব্দুল বারিক দুলালের নেতৃত্বে এতে জড়িত ছিলেন বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম, তার ছেলে ওমর ফারুক, স্ত্রী কমলা, মেয়ে শাপলা, দারাজ মন্ডল, মাহিন, আব্দুল খালেক সহ ১৫-২০ জন। অবশেষে গ্রামবাসী বুঝতে পেরে আমাদের উদ্ধার করে।
গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ জানান, আমিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। আলোচনার শেষ পর্যায়ে কিছু লোক চলে যায়। হঠাৎ সাবেক মেম্বার বাড়িতে ঢোকে। তারপরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির দরজা বন্ধ করা হয়। আলোচনা চলাকালীন সময়ে সুজাউলের মেয়ে শাপলা জোবায়েরের গালে আচমকা পেছেন থেকে থাপ্পর মারতে শুরু করে। আহসান হাবিব এটার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করাতে চতুর্দিক থেকে সাংবাদিক আহসান হাবিব ও জোবায়েরের উপরে আক্রমণ শুরু হয়। তাদের চিল্লাচিল্লিতে গ্রামবাসী এসে তাদের উদ্ধার করেন।
ফেরদাউস হোসাইন জানান, আমিও বৈঠকে ছিলাম। ব্যক্তিগত কিছু কাজ থাকায় এক পর্যায়ে বাড়ি ফিরি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর চিল্লাচিল্লির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি সেখানে অনেক মানুষ। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। ভেতরে মারপিটের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা একটা জঘন্য অপরাধ। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই শালিসি বৈঠকে আমারও থাকার কথা ছিলো। কিন্তু জরুরি কাজে ঢাকায় থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সাবেক মেম্বার একজন সন্ত্রাসী। নারী কেঙ্কাকারি, হাইজ্যাক, মাদক, জুয়া ও চোরাকারবারি সহ বিভিন্ন মামলার সে আসামী। গ্রামের পরিবেশকে সে নানাভাবে নষ্ট করেছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
এমআই