tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২৪, ১৯:১৩ পিএম

৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে গেছে : প্রধানমন্ত্রী


prime-miister-202403060841291-20240605183012

প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষদের নাগালের মধ্যে কমিউনিটিবেজড স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের মধ্যে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক এরই মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে।


আজ বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের (২০২৪ থেকে ২৫) অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ প্রয়াসে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। জনমুখী এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত ও অধিকাংশই চালু করা হয় এবং জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ হাজার ৬২৪টি বিদ্যমান থাকে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ‘রেভিটালাইজেশন অব কমিউনিটিজ হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়ে নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রয়োজনীয় মেরামত, জনবল পদায়ন, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহপূর্বক নতুন নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ সেক্টর (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় কমিউনিটিবেজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সমস্ত কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সারা দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে এবং ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে মূলত স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ শনাক্তকরণ, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অসংক্রামক রোগসমূহ প্রাথমিকভাবে নিরূপণ এবং উচ্চতর পর্যায়ে রেফার যেমন—উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্সেনিকোসিস, অটিজম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার করা এবং একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এমএইচ