রাশিয়া যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে : বরিস জনসন
Share on:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়া ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির সোফি রাওয়ার্থকে দেয়া এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি জার্মানির মিউনিখ শহরে বসে এ সাক্ষাতকার দেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়া ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির সোফি রাওয়ার্থকে দেয়া এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি জার্মানির মিউনিখ শহরে বসে এ সাক্ষাতকার দেন।
একটি বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বনেতারা এখন মিউনিখে জড়ো হচ্ছেন। বরিস জনসনও এ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে গেছেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব লক্ষণ বলছে যে পরিকল্পনার (যুদ্ধের) বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে এক অর্থে শুরু হয়ে গেছে।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া এমনভাবে আগ্রাসন শুরু করতে চায়, যা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলবে। যুদ্ধে যে শুধু জীবনেরই ক্ষয় হবে, তা মানুষকে বুঝতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজারের মতো রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এ সংখ্যার মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও আছে।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সতর্ক করে বলছেন, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে পশ্চিমাদের এমন দাবি অস্বীকার করা হচ্ছে। মস্কোর ভাষ্য, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে তারা সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। যুদ্ধ বাধানোর কোনো ইচ্ছা মস্কোর নেই।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এখনো আসন্ন বলে মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, তথ্যপ্রমাণ তেমনটাই ইঙ্গিত করছে বলে তিনি ভয় পাচ্ছেন। সত্যি হলো, সব লক্ষণ বলছে, পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে এক অর্থে শুরু হয়ে গেছে।
বরিস জনসন বলেন, ‘আমি বলতে ভয় পাচ্ছি যে আমরা যে পরিকল্পনাটি দেখছি, তা এমন কিছুর জন্য, যা সত্যিই মাত্রাগতভাবে ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হতে পারে।’
এইচএন