tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০২ এপ্রিল ২০২২, ১৮:১৭ পিএম

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান


বাজওয়া

পাকিস্তানের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। এবারও রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ায় দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনী তৎপর হয়ে উঠেছে।


ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পক্ষ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খান। এবার সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।

শনিবার ইসলামাবাদে নিরাপত্তা সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ থাকলেও এই সংঘাত নিয়ে পাকিস্তান মারাত্মকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত। ছোট একটি দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযান ক্ষমা করা যায় না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কোনও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য রাখতে দেখা গেলো। ইসলামাবাদ মস্কোর বিরুদ্ধে আগে এই যুদ্ধের বিরোধিতা করেনি।

যুদ্ধের মধ্যেই মস্কোয় সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু এবার যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।

জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে হবে। কারণ এতে অনেক বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যায়িত করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।

তিনি বলেন, এই সংঘাতে ছোট দেশগুলোর মনে হয়েছে, আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বড় দেশগুলোর বিরুদ্ধে তারা নিজেদের খুব বেশি রক্ষা করতে পারবে না। স্বাধীনতার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে পাকিস্তানের চমৎকার অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়ার সঙ্গে শীতল সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে অনেকগুলো বড় কারণ রয়েছে।

এদিকে সরকারের অনুরোধে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ডিজি গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুপক্ষ সেখানে তিনটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।

সামরিক বাহিনীর সূত্র জানায়, তিনটি বিকল্পের মধ্যে রয়েছে— জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব মোকাবিলা করা, ইমরান খানের পদত্যাগ করা এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রথম দুটি বিকল্প প্রত্যাখ্যান করে তৃতীয়টিতে সম্মত হন।

সামরিক সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব আলোচনার পর সেনাপ্রধান ও আইএসআই ডিজি একই দিন বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা তাদেরকে অবহিত করেন। তবে বিরোধী নেতৃত্ব পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়াসহ তিনটি বিকল্পই নাকচ করে দেন।

সামরিক সূত্র জানায়, সামরিক নেতৃত্ব বিরোধী নেতাদের জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। তারা কেবল সরকারের সঙ্গে আলোচিত তিনটি বিকল্প প্রস্তাব বিরোধী শিবিরকে পৌঁছে দিয়েছে। সূত্র: ডন অনলাইন

এমআই