বিসিবির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৪০ লাখ টাকা
Share on:
৯০০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) যাদের, সেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আলোর নিচে অন্ধকার! দেশের সবচেয়ে ধনী বোর্ড হয়েও বিদ্যুৎ বিল বাকি রাখাটা অনেকের চোখে দৃষ্টিকটু ঠেকেছে।
৯০০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) যাদের, সেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আলোর নিচে অন্ধকার!
বিসিবির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় ৪০ লাখ (৩৯ লাখ ১৮ হাজার ২৬৭) টাকা! ১৫ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি বিসিবি।
এবার এর সুরাহা চায় এনএসসি। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে হকি ফেডারেশনের। তাদের কাছে ৬৬ লাখেরও বেশি টাকা পাবে ডেসকো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বাকি রয়েছে ২৮ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল।
সব ক্রীড়া ফেডারেশনেরই মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তবে দেশের সবচেয়ে ধনী দুই ফেডারেশন ক্রিকেট ও ফুটবলের বকেয়া বিলের পরিমাণ অনেক বেশি।
ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়ে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব পরিমল সিংহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘পরিচালকদের নিয়ে আমাদের প্রতিমাসে একটি সভা হয়ে থাকে।
এবারের সভায় ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর বিদ্যুৎ বিল আদায় করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই হিসাবেই সব ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এনএসসির নামে বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। সেখান থেকেই সব ক্রীড়া ফেডারেশন চলে। বিলও আমরা পরিশোধ করে যাচ্ছি।
কিন্তু আদায় করতে পারছি না। বিসিবির কাছেও অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল এবার তোলার চেষ্টা করছি আমরা।’
২০১৪ সালে একবার বিসিবির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছিল ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। সেবার কয়েক ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল বোর্ড।
তখন এনএসসির সঙ্গে আলোচনা করে আবার তারা বিদ্যুৎ সংযোগ লাগিয়ে নেয়। প্রতিবছর কল্যাণ খাত এবং অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনকে সাহায্য ছাড়াও কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিসিবি।
দেশের সবচেয়ে ধনী বোর্ড হয়েও বিদ্যুৎ বিল বাকি রাখাটা অনেকের চোখে দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। বকেয়া বিলের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ড ও হসপিটালিটি বক্স মিলে ৩৬ লাখ ২৬ হাজার ২৩৫ টাকা রয়েছে।
ক্রিকেট বোর্ডের অন্য কক্ষগুলোর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২ লাখ ৯২ হাজার ৩২২ টাকা। বিসিবির কাছে যা সামান্যই। বিল বকেয়া থাকার কারণ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এইচএন