ফের বিধিনিষেধ আসতে পারে হোটেল-রেস্তোরাঁয়
Share on:
করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ‘ওমিক্রন’ সারা বিশ্বে উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সতর্ক বাংলাদেশ। নতুন এ ধরনের কারণে দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ আরোপের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ‘ওমিক্রন’ সারা বিশ্বে উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সতর্ক বাংলাদেশ। নতুন এ ধরনের কারণে দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ আরোপের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল রোববার ( ২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ‘ওমিক্রন’-এর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব দেশকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি ও লেসোথোর সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে।
নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা থেকেও অধিক সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে হোটেল-রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করতে হবে।
একইসঙ্গে জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল, থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কমসংখ্যক লোক অংশ নিতে পারবেন।
এছাড়াও সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কঠোর হতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর আগে, করোনা নিয়ন্ত্রণে ঘোষিত লকডাউনে হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। পরে অবশ্য তা শিথিল করা হয়। লকডাউনে খাবার বিক্রির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরে প্রায় ৮ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। যাতে সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
এইচএন