tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৮ এএম

অবসরের ১০ মাস পর চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের মৃত্যু


li-keqiang-20231027075554

চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার পর মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।


২০১৩ সাল থেকে প্রায় ১০ বছর চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন তিনি। মাত্র ১০ মাস আগে চীনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসরে যান কেকিয়াং। অবসরে যাওয়ার আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন চীনা ক্ষমতা কাঠামোর দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ৬৮ বছর বয়সে মারা গেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। গত বছর অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে লি কেকিয়াং সাংহাইতে ‘বিশ্রামে’ ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, তাকে বাঁচানোর জন্য ‘সবরকম প্রচেষ্টা’ সত্ত্বেও শুক্রবার মধ্যরাতে ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

বিবিসি বলছে, ক্ষমতার প্রথাগত কোনও ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও লি কেকিয়াং দলীয় উচ্চ পদে উন্নীত হয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার চারপাশে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সাথে সাথে কেকিয়াং তার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে ক্ষমতা কাঠামোতে সাইডলাইনে পড়ে গিয়েছিলেন।

নিজের শেষ মেয়াদে কেকিয়াংই ছিলেন একমাত্র পদস্থ শীর্ষ কর্মকর্তা যিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুগত গোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিলেন না। অভিজাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত এই নেতা অর্থনৈতিক নীতিতে বাস্তববাদী হওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বার্ট হফম্যান বিবিসির নিউজডে প্রোগ্রামে বলেছেন, ‘লি কেকিয়াং একজন অত্যন্ত উদ্যমী খোলামেলা মানুষ ছিলেন যিনি সত্যিই চীনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে লি কেকিয়াং চীনের প্রধানমন্ত্রী হন। কিছুটা উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত এই নেতা চীনের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিসরে পরিবর্তন আনতে কাজ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা ছিল। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকে এই প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদকে নিয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন।

কিন্তু বলা হয়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নানাভাবে তার ক্ষমতা খর্ব করে দিয়েছিলেন।

এনএইচ