১ কোটি পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য
Share on:
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আগামী ২০-৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ধাপে সারাদেশে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিক্রি করবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এ পণ্য কেনা যাবে। দ্বিতীয় ধাপে ৩ এপ্রিল থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন। তবে দ্বিতীয় ধাপে পণ্য বিক্রি কবে শেষ হবে, তা জানানো হয়নি।
বিশেষ এ কার্ডের মাধ্যমে একসঙ্গে পণ্য কিনতে পারবেন ঢাকা ও বরিশাল সিটি ছাড়া সারা দেশের ৮৭ লাখ ১০ হাজার মানুষ।
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন ফ্যামিলি কার্ডের আওতার বাইরে থাকবে। এ দুই সিটির ১২ লাখ এবং বরিশালের ৯০ হাজার উপকারভোগী পরিবারকে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে হবে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, দেশের মোট ১ কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য দেওয়া হবে। করোনাকালে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ সহায়তা দিতে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তার মধ্য থেকে ৩০ লাখ পরিবার এ বিশেষ কার্ড পাচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগীর তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার দুই সিটির ১২ লাখ ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজার পরিবর টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবে।
টিসিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী ২০-৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথমপর্বে ১ কোটি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ২ লিটার সয়াবিন তেল (১১০ টাকা লিটার), ২ কেজি চিনি (৫৫ টাকা দরে), ২ কেজি মসুর ডাল (৬৫ টাকা দরে)।
দ্বিতীয় ধাপে ৩ এপ্রিল থেকে এসব পণ্যের সঙ্গে আরও ২ কেজি ছোলা (প্রতি কেজি ৫০ টাকা) যুক্ত হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, আমরা ৮ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে পণ্য পাঠানো শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় টিসিবির পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছে গেছে।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদফতর, বিএডিসি ও নির্ধারিত গুদামে টিসিবির পণ্য গ্রহণ ও প্যাকিং চলছে। আগামী ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রির জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তা প্রায় শেষ।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির পণ্য সুষ্ঠুভাবে বিক্রির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদায়নও করা হয়েছে। কার্যক্রম তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কমিটি স্থানীয় প্রশাসন থেকে গঠন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মানবিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সম্পৃক্ত থাকবে।
এইচএন