চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন
Share on:
তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, উইঘুর মুসলিমসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
পরিবর্তে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক একটি রাখা সম্পর্ক রাখা এবং সেই সঙ্গে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের ভূমিকার প্রতিক্রিয়া জানানোতেই আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সম্মেলন ‘ইস্ট এশিয়া সামিট’। সেই সম্মেলনের শেষ দিন অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে রোববার চীন সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা জারি থাকবে এবং আমরা বেশ শক্তভাবেই এতে (প্রতিযোগিতায়) থাকব; কিন্তু এই প্রতিযোগিতা যেন কখনও সংঘাতে রূপ না নেয়, সেজন্য আমরা (চীনের সঙ্গে) যোগাযোগ ও আলোচনার দরজাও সবসময় উন্মুক্ত রাখতে চাই।’
নিজ বক্তব্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়ার কড়া সমালোচনাও করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের যুদ্ধকে ‘নিষ্ঠুর ও অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে চীনকে ‘সংযত’ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে ফিলিপাইন, দক্ষিন কোরিয়া, জাপানসহ এই সাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশের। এসব দেশের অভিযোগ— চীন ‘গায়ের জোরে’ অন্যান্য দেশের সমুদ্রসীমা নিজেদের দখলে আনার চেষ্টা করছে। আর তাইওয়ান প্রণালী নিয়ে চীন-তাইওয়ানের দ্বন্দ্ব ঐতিহাসিক।
কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত ‘ইস্ট এশিয়া সামিট’ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে পুর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মোট আঠারোটি দেশ। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের ৯ সদস্যরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ছাড়াও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় অর্ধাংশ এই আঠারোটি দেশের ওপর নির্ভরশীল। আসিয়ান জোটের সদস্য হিসেবে মিয়ানমারেরও এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সামরিক শাসন জারি থাকায় দেশটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে, চলতি সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট গ্রুপ অব ২০ (জি২০) সম্মেলন। জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং— উভয়েরই এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনের অবসরে দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : রয়টার্স
এমআই