tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ এএম

এবার পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরে ঢুকে’ হামলার হুমকি ভারতের


image-792990-1712377881

ভারত বরাবরই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে; সেটার বিস্তৃতি অভ্যন্তরীণ থেকে আন্তর্জাতিক ফোরাম পর্যন্ত। একই ইস্যুতে এবার পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিল দেশটি।


ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে সিএনএন নিউজ নেটওয়ার্ক ১৮। তিনি বলেছেন, ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে কেউ সীমান্ত পেরিয়ে পালালে তাকে পাকিস্তানে ঢুকে মেরে আসবে ভারত।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনাথ এই হুঁশিয়ারি দেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ভারত সরকার পাকিস্তানে প্রায় ২০ জনকে হত্যা করেছে। বিদেশের মাটিতে বাস করা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন অভিযান চালাচ্ছে তারা।

এই প্রতিবেদনের বিষয়ে সিএনএন নিউজ ১৮ জানতে চাইলে রাজনাথ সিং বলেন, ‘তারা (সন্ত্রাসী) যদি পাকিস্তানে পালিয়ে যায়, আমরা পাকিস্তানে ঢুকে তাদের মারব।’

তবে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য চেয়ে রয়টার্সের পক্ষ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভারতের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।

ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘ভারত সবসময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়... কিন্তু যদি কেউ ভারতকে বার বার রক্তচক্ষু দেখায়, ভারতে আসে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তাহলে আমরা তাদেরকে ছেড়ে দেব না।’

২০১৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির বহরে বোমা হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ওই বছর পুলওয়ামা হামলার পর জনসভা থেকে রাজনাথের মতোই ঘরে ঢুকে মেরে আসার হুমকি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পুলওয়ামা হামলার কয়েকদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই হামলা জঙ্গি ঘাঁটিতে চালানো হয়েছিল বলে দাবি দিল্লির। যদিও অভিযান চালাতে গিয়ে ভারতীয় এক পাইলট পাকিস্তানে আটক হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে।

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান বলেছিল, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ভারত দুই নাগরিককে হত্যা করেছে। তবে ভারত এ অভিযোগকে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা আখ্যা দিয়েছে।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারত হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠার কয়েক মাস পর দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।

গত বছর সেপ্টেম্বরে কানাডা বলেছিল, ওই বছর জুনে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গুলি করে হত্যায় ভারতের যোগসূত্র থাকার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ভারত এমন অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেয়। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

অপরদিকে গত বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তাদের মাটিতে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হত্যার চেষ্টা নস্যাৎ করেছে তারা। এ ঘটনায় জড়িত যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ব্যক্তি এই হত্যা পরিকল্পনা সমন্বয় করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করেছিল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে ভারত তা তদন্ত করে দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এনএইচ