আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত : নেইমার
Share on:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশে আবেগী এক বার্তা দিয়েছেন ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার নেইমার।
তিনি বলেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এটা এমন এক পরাজয় যা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। আমি ১০ মিনিটের মতো পক্ষাঘাতগ্রস্থ ছিলাম। তারপর অবিরাম কান্নায় ভেঙে পড়ি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘদিন এটা কষ্ট দেবে।
আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। সতীর্থদের নিয়ে আমি গর্বিত। কারণ প্রতিশ্রুতি বা আত্মনিবেদনের কমতি ছিল না। এই দলটার প্রাপ্য ছিল (শিরোপা)। আমাদের এটা প্রাপ্য ছিল, ব্রাজিলের এটা প্রাপ্য ছিল...
কিন্তু এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল না! মাঠে প্রত্যেকের ভালোবাসা অনুভব করা প্রতিটি ত্যাগের মূল্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচিত করে আপনারা যে সমর্থন দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। দুর্ভাগ্যবশত এটি কাজ করেনি...এটা দীর্ঘসময় কষ্ট দেবে, দীর্ঘ সময়।
ঈশ্বরকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। আপনি আমাকে সবকিছু দিয়েছেন, আমার কোনোকিছু নিয়ে অভিযোগ নেই। শুধু আমার যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সমস্ত সম্মান এবং সমস্ত গৌরব সবসময় আপনার জন্য, পরিস্থিতি নির্বিশেষে।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের এই দলটাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই। দলে এত এত ভালোমানের ফুটবলার। ব্রাজিলকে এবার হট ফেবারিট মানতে আপত্তি ছিল না প্রতিপক্ষেরও।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার হেক্সা শিরোপা ঘরে তুলবে, এমন আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। যে স্বপ্নের সারথি ছিলেন নেইমার। ব্রাজিলের এই ফুটবল সুপারস্টার এবারও পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন বিশ্বকে। কিন্তু স্বপ্নটা পূরণ হয়নি।
ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকার ভাগ্যে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। পরাজয়ের পর মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় নেইমারকে।
প্রসঙ্গত, নেইমার ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে নেইমার ফিফা ব্যালন ডি'অরের জন্য মনোনয়ন পান। তবে ১০ম স্থানে আসেন। তিনি ফিফা পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তার খেলার ধরনের কারণে সমালোচকদের প্রশংসা ও মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন এবং তাকে সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার পেলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
এন