টিপু-প্রীতির খুনিরা রেহাই পাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Share on:
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতির খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জড়িত কেউই রেহাই পাবে না। অতিদ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ ঘটনা নিয়ে যারা কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করবেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। খুনি যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ বলছে, যে ব্যক্তি গুলি করেছেন, তিনি পেশাদারের চেয়েও পেশাদার। প্রকাশ্যে ব্যস্ত সড়কে এত কম সময়ে এতগুলো গুলি ছোড়া খুব সহজ ব্যাপার না। হত্যাকারীর ছোড়া ১২ রাউন্ড গুলির ১০টি জাহিদুল ইসলাম টিপুর গলা, বুক, পেট, কাঁধ, পিঠ, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্ধ হয়।
এদিকে, শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি ঈদগাহ মাঠে জাহিদুল ইসলাম টিপুর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফেনীতে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতেই ডিএমপির শাজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
এমআই