আদালতের রায় নিয়ে শাহাদাত হোসেনের প্রতিক্রিয়া
Share on:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত।
এর মাধ্যমে নির্বাচনের তিন বছর আট মাস পর চসিকের মেয়র ঘোষিত হয়েছেন ডা. শাহাদাত। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্তে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীন এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়কে ঐতিহাসিক বললেন শাহাদাত হোসেন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ অগাস্ট দায়িত্ব নেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংসদ ভেঙে দেওয়ার হয় গত ৬ অগাস্ট।
দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৯ অগাস্ট সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়। সে সব পদে বসানো হয় প্রশাসক।
তখন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা শাহাদাত হোসেনের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবারের শুনানিতে বিবাদিদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পরে শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত।
এতদিন পর এ রায় ঘোষণাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি ধাপ মনে করছেন এ বিএনপি নেতা।
বিবিসি বাংলাকে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ মামলা করার অপারাধে আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত লড়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের আইনের শাসনের প্রতি আস্থা ফিরে আসবে।’
‘অবিলম্বে আদালতের রায় কার্যকর করতে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই’, বলেন হোসেন।
এনএইচ