রনি একাই ধসিয়ে দিলেন বরিশালকে
Share on:
এবারের বিপিএলে সুযোগই মিলছিল না সেভাবে। মাঝে একটি ম্যাচ খেলেছেন। তারপর আবার একাদশ থেকে জায়গা হারান। চারটি ম্যাচ বসে থাকেন সাইডলাইনে।
সেই আবু হায়দার রনিই দ্বিতীয় সুযোগ পেয়ে মাঠ কাঁপালেন। এবার প্রথম ওভারেই বাজিমাত। এক ওভারে তিন উইকেটসহ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। এটি চলতি বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগার।
বল হাতে আগুন ঝরানো ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ভালো জায়গা থেকে ধস নামান আবু হায়দারই। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলা দলটি ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে মোটে ১৫১। অর্থাৎ জিততে হলে রংপুর রাইডার্সকে করতে হবে ১৫২।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে ঝোড়ো সূচনা করেন তামিম ইকবাল। ৪ ওভারের ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান পায় ফরচুন বরিশাল। তামিম খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সাকিব-তামিম দ্বৈরথ দেখতে যারা মুখিয়ে ছিলেন, তাদের আশায় গুঁড়েবালি।
প্রথম বলেই তামিমকে বোকা বানান সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে ব্যাটে আলতো ছোঁয়ায় বল একদম বাতাসে ভাসিয়ে দেন তামিম।
সাকিবই ফিরতি ক্যাচটি নিতে পারতেন। তবে তিনি তাড়াহুড়ো করেননি, তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুল হক সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করেন। ২০ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৩ রানে থামে তামিমের ঝোড়ো ইনিংসটি। আরেক ওপেনার টম ব্যান্টন আউট হয়ে যান ২৪ বলে ২৬ করেই।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় বরিশাল। এক ওভারে তিন শিকার করে বরিশালের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন আবু হায়দার রনি। ওভারের প্রথম বলে মুশফিকুর রহিম ৩ বলে ৫ করে উইকেটরক্ষক সোহানকে দেন ক্যাচ, তৃতীয় বলে বোল্ড সৌম্য সরকার (০) হন বোল্ড, পঞ্চম বলে মারকুটে মায়ার্সও দেন ফিরতি ক্যাচ।
২৭ বলে মায়ার্সের ৪৬ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার। রনির দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরাস্ত হন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মারতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি (৯ বলে ৯)।
১০ ওভারে ১ উইকেটে বরিশালের স্কোর ছিল ১০০। শেষ ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ৫১ রান!
এমএস