tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৫ পিএম

মির্জা আব্বাসের মামলার রায়ের তারিখ ফের পেছাল


Untitled

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় আজও হচ্ছে না। আগামী ২৮ ডিসেম্বর রায়ের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।


মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করছিলেন আদালত। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক সেদিন রায় ঘোষণা করতে পারেননি। পরে রায়ের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু আজও রায় ঘোষণা না করায় দ্বিতীয়বারের মতো তারিখ পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

মামলাটিতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছে দুদক। যার কারণে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে। একইসঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও করছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

অপরদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন।

২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির উপপরিচালক মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

পরে আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করে। বিচার চলাকালীন ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এনএইচ