tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৫ জুলাই ২০২৩, ০৯:২২ এএম

এক দফা বিদেশিদের সমর্থন পায়নি: ড. হাছান মাহমুদ


3

বিএনপির এক দফা বাংলাদেশের মত বিদেশিদেরও সমর্থন পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


তিনি বলেন, বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, কিন্তু এটা কেউ বলেনি। কারও সঙ্গে কোনো আলাপে এই প্রসঙ্গটাই আসেনি। বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, তেমনি বিদেশি কারও সমর্থন পায়নি।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

বুধবার পল্টনে বিএনপির সমাবেশ করে এক দফা দাবি ও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ দফা ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ঘোষণা করেছিল এক দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা, এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সাল থেকেই এক দফার আন্দোলন শুনে আসছি। এটি হচ্ছে সাপের খোলস বদলানো ও একই ঢোল বারবার বাজানোর মতো। সাপ যেমন কয়েক দিন পরপর খোলস বদলায়, বিএনপিও সাপের খোলস বদলানোর মতো বছরান্তে এক দফার কথা বলে। এতে নতুনত্বের কিছু নেই।

ড. হাছান বলেন, তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য ছিল বিদেশিদের দেখানো—তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে। নয়াপল্টনের সামনে রাস্তাজুড়ে বড়জোড় ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরও ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর ১২ ঘণ্টার নোটিসে তিনটা রাস্তাজুড়ে আমরা লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করেছি। সবাই দেখেছে আওয়ামী লীগ কত বড় সমাবেশ করার ক্ষমতা রাখে।

সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয়, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এজন্য আপনাদের আরও কিছু জায়গার প্রয়োজন। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আপনারাও আপনাদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ে উঠলে এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের রোগীরাও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পাবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগামের পরিচালক অধ্যক্ষ শামস ফররুখ আহমেদ। এছাড়া অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন।

এন