ভরাডুবি জেনেই নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
Share on:
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভরাডুবি হবে জেনেই বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো গুপ্তস্থান থেকে গাড়ি পোড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে, মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, এরপর তো মানুষের কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ তাদের নাই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করে গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল বিএনপি, কিন্তু পারে নাই।
২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, তাও পারে নাই। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ এর তুলনায় অনেক কম।
বিএনপি এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে বাস, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে,
জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি এখন রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নাই, সবার বিরুদ্ধে তো ওয়ারেন্ট নাই, কিন্তু কাউকে এখন দেখা যাচ্ছে না।
কারণ তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘঠিত করে যাচ্ছে, এ জন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহস তাদের নাই।
দুটি কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, এর প্রতিবাদ সারা পৃথিবী জুড়ে হয়েছে, এমন কি অনেক ইহুদিও এর প্রতিবাদ করেছেন।
শুধু বিএনপি এবং জামায়াত প্রতিবাদ করে নাই। ফলে দেশের সব মুসলমানদের তারা আহত করেছে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।
আর অপরটি হলো, ইসরায়েলি বাহিনীর মতো তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা চালাচ্ছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে।
বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে না এলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে। জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে।
জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে।
আমরা বৈশ্বিক অঙ্গনেও সন্ত্রাস দমনের পক্ষে একযোগে কাজ করছি। তাদের পরামর্শকে আমরা অবশ্যই মূল্য দেই।
আমাদের কাছে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শের অবশ্যই মূল্য আছে। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হয়, আমরা নেই।
সংলাপ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে।
বিএনপি বলেছে এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নাই। আমরা অবশ্যই সংলাপের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।