ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ এক হতে হবে: জয়া আহসান
Share on:
নিজের দেশে দেশছাড়া মানুষগুলোর নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এমন প্রত্যাশা করেন জয়া আহসান
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিন মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। হামলায় নির্বিচার শিশু মৃত্যুর খবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবতাকামীদের হৃদয় স্পর্শ করছে।
এমন হামলায় যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে জানাচ্ছেন প্রতিবাদ। তারকারাও আছেন। ফিলিস্তিনের হামলার খবরে মনটি খুবই বিষণ্ন বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানের।
তিনি তাঁর অনুভূতি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
জয়া লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর।
আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন।
আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
এর মধ্যে শিশু মারা গেছে চার হাজারের বেশি। এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি।’
ভারতের গোয়ায় শুরু হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার (ইফি) ৫৪তম আসর। ২০ নভেম্বর শুরু হওয়া উৎসবটি শেষ হবে ২৮ নভেম্বর।
উৎসবে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানের চারটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ছবিগুলো হচ্ছে ‘কড়ক সিং’, ‘ফেরেশতে’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ ও ‘অর্ধাঙ্গিনী’।
উৎসবে অংশ নিতে গোয়া যাচ্ছেন। এ উৎসবে তাঁর সঙ্গে থাকবেন কলকাতা ও বলিউডের সহশিল্পীরা। উৎসবে অংশ নেওয়ার আগমুহূর্তে ফিলিস্তিনে হামলার প্রসঙ্গ তাঁর মনটা ভারাক্রান্ত করেছে।
জয়া বললেন, ‘নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ জন্য মনে অপরাধ-অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে।
কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।
এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুরগাছের নিচে।