tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ১১ জানুয়ারী ২০২২, ২২:১৩ পিএম

দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা, গমের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বে


কৃষিমন্ত্রী.jpg

বছরে বছরে চালের উৎপাদন বাড়ছে। বাজারেও পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।


বছরে বছরে চালের উৎপাদন বাড়ছে। বাজারেও পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) চালের দাম বাড়ার বিষয়ে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বছরে ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। এ ছাড়া, অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চালের উৎপাদন প্রতি বছর বাড়ছে। বাজারে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়লে চালেরও দাম বাড়ে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮-এর মন্ত্রী পর্যায়ের দুদিনব্যাপী বৈঠকের তারিখ ঘোষণা করতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। এ ছাড়া, অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে।

এসব বিষয় ও কিছুটা মুদ্রাস্ফীতির ফলে চালের দাম কিছুটা বেশি। কিন্তু বাজারে গেলে চাল পাওয়া যায় না বা মানুষ কিনতে পারে না এমন পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যসংকট নেই।

কৃষিমন্ত্রী বলেন , বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তম ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি। কোভিড পরিস্থিতির কারণে পুরো আয়োজনটি হবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ে জোটের সদস্য বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী এবং সচিবসহ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

এ ছাড়া আইডিবি, এফএও, আইএফএডি, আইআরআরই, সিআইএমএমওয়াইটিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।

‘এবারের মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় হলো কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা: ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষির উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে করণীয়, যৌথ কৃষি গবেষণা, যান্ত্রিকীকরণ, এগ্রো-প্রসেসিং, ব্লু ইকোনমি, সার উৎপাদন, বীজ, অ্যানিমেল ফিড, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।’

এইচএন