রপ্তানির অপেক্ষায় পণ্যবাহী ১৫ হাজার কনটেইনার
Share on:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তীতে হাসিনা সরকারের পতনে দেশের আমদানি-রপ্তানি কিছুটা স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনারের স্তূপ জমেছে।
স্বাভাবিকভাবে কনটেইনার জাহাজীকরণ না হওয়ার কারণে গত কয়েক দিনে রপ্তানিপণ্যের জট লেগে গেছে। বর্তমানে ১৯ অফডকে ১৫ হাজার ১৫১ টিইইউস রপ্তাণিপণ্য ভর্তি কনটেইনার রয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বিকডা মহাসচিব বলেন, গত দুই সপ্তাহে দেশে অস্থিতিশীলতার কারণে খালাস ধীর হওয়ায় আমদানিপণ্যের জমাট তৈরি হয়েছে। আবার রপ্তানির ক্ষেত্রে একই চিত্র। যে কারণে অফডকগুলোতেও চাপ পড়েছে। এ পরিস্থিতি সামলে উঠতে কিছু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, এখন সব ধরনের আমদানিপণ্য অফডকের মাধ্যমে খালাসের পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ জটলা দ্রুত কমে আসবে। বিশেষ করে সামনের এক মাসের জন্য হলেও অফডকে সব ধরনের আমদানি পণ্য খালাসের ব্যবস্থা হলে সব স্তরের বন্দর ব্যবহারকারী সুফল পাবেন।
বিকডার তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে দেশের ১৯ অফডকে রপ্তানি কনটেইনার ছিল ১৫ হাজার ১৫১ টিইইউস। আমদানি কনটেইনার ছিল ৮ হাজার ৭১৩ টিইইউস এবং খালি কনটেইনার ছিল ৪১ হাজার ৩৯৮ টিইইউস। সোমবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় অফডকগুলো থেকে ১ হাজার ৩৯৫ টিইইউস কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে জাহাজীকরণ হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৭১৩ টিইইউস কনটেইনার পণ্য অফডকগুলোতে এসেছে। একই সময়ে বন্দর থেকে আমদানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এসেছে ৮৪৬ টিইইউস। পাশাপাশি অফডকগুলো থেকে আমদানিপণ্য খালাস দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৩ টিইইউস।
এ বিষয়ে বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমদানি-রপ্তানির সাপ্লাই চেইনে যদি বিঘ্ন ঘটে তাহলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। সেই পরিস্থিতি বিবেচনায় কল-কারখানাগুলো খুলতে শুরু করেছে। যার ফলে রপ্তানিপণ্য নিয়ে ডিপোগুলোতে প্রচুর গাড়ি প্রবেশ করছে। একেবারে আগের পরিস্থিতিতে না এলেও পণ্য আমদানি-রপ্তানি তুলনামূলক বেড়েছে।
এমএইচ