tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৫ পিএম

পরিচয় মিলল ভাইরাল সেই ভিডিওতে থাকা আরেক পুলিশ সদস্যের


rezayul-20240901151856

‌‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার পর লাশ ভ্যানে স্তূপাকারে রাখছে পুলিশ। ভ্যানের নিচে জমাট বেঁধে আছে মরদেহের শরীর গড়িয়ে পড়া রক্ত। লাশগুলো ঢেকে দিচ্ছে ময়লা চাদর ও রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি ব্যানার দিয়ে।


ঢাকার আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া বীভৎস ও লোমহর্ষক এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় ব্যাপক সমালোচনা। ভিডিওটিতে থাকা আরও এক পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, লাশ যখন তোলা হচ্ছে তখন ওই ভ্যানের পাশ দিয়ে চিন্তিত মুখে পায়চারি করছেন দুই পুলিশ সদস্য। অনুসন্ধানে তাদের দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, ভিডিওতে তার পরনে ছিল পুলিশের ভেস্ট ও হাতে হেলমেট। আর টিশার্ট পরিহিত আরেকজন হলেন কনস্টেবল রেজাউল করিম।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা ভিডিওতে দেখতে পাওয়া রেজাউলের পরিচয় নিশ্চিত করেন। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র রেজাউল করিমের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তিনি ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ রিয়াজ আহমেদ বিপ্লব বলেন, আমাদের ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ রেজাউল নামে একজন কনস্টেবল কর্মরত রয়েছেন। তবে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ওই ব্যক্তি তিনি কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। রেজাউল এখন ছুটিতে রয়েছেন।

এছাড়া ৫ আগস্ট রেজাউল কোথায় ডিউটি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি করেছে। তবে রেজাউল কোথায় ডিউটি করেছেন, তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মরদেহ স্তূপাকারে জমা করা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে মরদেহ ভ্যানে নিক্ষেপ করছেন। এর আগেই ভ্যানে লাশ স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা মেলে। ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশে।

এমএইচ