যাত্রীর চাপ সামাল দিতে মেট্রোরেলে কোচ বাড়ানোর উদ্যোগ
Share on:
ভয়াবহ যানজটের নগরী ঢাকায় আশার আলো দেখিয়েছে মেট্রোরেল। ইতোমধ্যে মেট্রোর সুফল পেতে শুরু করেছেন নগরবাসী। এখন মাত্র ৩২ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল, মিরপুর-১০ থেকে ১০ মিনিটে ফার্মগেট যাওয়া যায়। ফলে বাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ছেড়ে এখন মেট্রোর দিকে ঝুঁকছেন রাজধানীর মানুষ। এ কারণে মেট্রোরেলে হচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। চাপ সামাল দিতে কোচের সংখ্যা ৬ থেকে বাড়িয়ে ৮টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল বাস্তবায়ন ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)।
বর্তমানে মেট্রোরেলে নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত কোচসহ মোট ৬টি কোচ থাকে। প্রতি কোচে ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩৯০ জন, তবে সামনের দুই দিকে ইঞ্জিনের কারণে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন। এখন একসঙ্গে ট্রেনে উঠতে পারেন সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ জন। দুটি কোচ বাড়ালে এ সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮০ জন।
কাওরান বাজার থেকে উত্তরার যাত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, ডিএমটিসিএলের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন পিক আওয়ারে প্রতি ১০ মিনিটে এবং অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিটে একটি করে ট্রেন আসে। তিনি এক ট্রেন থেকে আরেকটির মধ্যবর্তী সময় কমানোরও দাবি জানান।
মেট্রোর নিয়মিত যাত্রী আশিকুর রহমান বলেন, শুধু কোচ নয়, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া উচিত। তিনিও দুটি ট্রেনের টাইমিং কমানোর বিষয়ে কথা বলেন।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এসব উদ্যোগে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়া যাবে। এতে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামার সমস্যা কমবে। ভিড়জনিত কারণে এখন যারা মেট্রো এড়িয়ে চলছেন, তারাও মেট্রোমুখি হবে। ফলে সড়কে চাপ আরও কমবে।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইফতিখার হোসেন বলেন, দিনদিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত কোচের সংখ্যা ৬টি থেকে বাড়িয়ে ৮টি করা হবে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে যাত্রীর চাপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে কেবল কোচের সংখ্যা বাড়ালেই কাজ হবে না। ট্রেনের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, কোচের সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া অন্য দুটি লক্ষ্য পূরণে কয়েক মাস সময় লাগবে। এমআরটি-৬ এর জন্য এখন ৬ কোচের ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে। কোচের সংখ্যা ৮টি করা হলে সেটের সংখ্যা নেমে আসবে ১৮টিতে। এক রুটে ৯টি করে সেটের মধ্যে একটি হাতে রাখা হয় জরুরি অবস্থার জন্য।
এনএইচ