তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আ.লীগ ১০টি আসনও পাবে না: মির্জা ফখরুল
Share on:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এ জন্যই ওই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু’। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারা বিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মঞ্জুরুল করীম রনির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির প্রয়াত নেতা সোহরাব উদ্দিনসহ গাজীপুরের অন্যান্য প্রয়াত নেতাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরিব আরও গরীব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়েছিলাম সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃত পক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজই (শরীরী ভাষা) বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে রাজপথেই ফয়সালা হবে। স্লোগান হচ্ছে রাজনৈতিক দলের খুব বড় একটি ওষুধ। এই ওষুধ দিয়ে সারা দেশের মানুষকে জাগ্রত করা যায়। আপনারা জানেন, কয়েকটা বিশেষ স্লোগানের মধ্য দিয়ে এ জাতি স্বাধীন হয়েছে এবং গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। আমরা বার বার এ স্লোগানের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মো. শওকত হোসেন সরকার এবং সম্মেলনের সভাপতি এম মনজুরুল করিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে ১৫১ সদস্যের মহানগর বিএনপির পূর্ণ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওমর ফারুক সাফিন, ডা. মাজহারুল আলম, সাঈদ সোহরাব, আবু আশফাক, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মো. মজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
এমআই