মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
Share on:
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি স্পেনের মারিয়া ব্রায়ানস মোরেরা মারা গেছেন। ১৯০৭ সালে যুক্তরাজ্যে জন্ম হয় তার। আর ২০২৪ সালে ১১৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে এই নারীর।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে তার পরিবার এক পোস্টে বলেছে, “মারিয়া ব্রায়ানস আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন ঘুমের মধ্যে, শান্তি এবং যন্ত্রণা ছাড়া যেন তার মৃত্যু হয়। সেটিই হয়েছে। আমরা সবসময় তাকে তার মহানুভবতা এবং উপদেশের জন্য মনে রাখব।”
ব্রায়ানস গত দুই দশক ধরে স্পেনের সান্তা মারিয়া দেল তুরা নার্সিং হোমে ছিলেন। কয়েকদিন আগে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন নিজের শরীরে এখন দুর্বলতা অনুভব করেন তিনি।
পোস্টে মারিয়া ব্রায়ানস লিখেছিলেন, “সময় ঘনিয়ে এসেছে। কান্না করবেন না। আমি কান্না পছন্দ করি না। সবকিছুর উপরে, আমার জন্য ভোগান্তি পোহাবেন না। যেখানেই আমি যাব, খুশি থাকব।” মারিয়ার এক্স অ্যাকাউন্টটি চালাত তার পরিবার।
২০২৩ সালে ফরাসি নাগরিক নান লুসিল র্যান্ডন ১১৮ বছরে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড মারিয়া ব্রায়ানসকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে জীবিত বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি দেয়।
মারিয়ার মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে জীবিত বয়স্ক মানুষের রেকর্ডটি গেছে জাপানের তোমিকো ইতোকার দখলে। তিনি ১৯০৮ সালের ২৩ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বর্তমান বয়স ১১৬ বছর।
ব্রায়ানস তার জীবদ্দশায় ১৯১৮ সালের ফ্লু, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, স্পেনের গৃহযুদ্ধ এবং করোনা মহামারি দেখেছেন। ২০২০ সালে মারিয়া করোনায় আক্রান্তও হয়েছিলেন। কিন্তু মরণব্যাধী এ রোগ থেকে পুরোপুরি সেরেও উঠেছিলেন তিনি।
মারিয়া ব্রায়ানস ১৯০৭ সালের ৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে সান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম নেন। এর কয়েক বছর আগে তার পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায়।
তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ সালে তারা তাদের আদি নিবাস স্পেনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি জাহাজে চড়ে। তবে এই যাত্রায় তার বাবা টিউবারকিউলিসে আক্রান্ত হয়ে জাহাজেই মারা যান। কোনো উপায় না থাকায় তার বাবার কফিনটি সমুদ্রে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসএম