মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
Share on:
ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে অসহনীয় হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও খুচরা বাজারে বাড়তি দামে ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে দীর্ঘদিন। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার মিয়ানমার থেকে আনা যাচ্ছে পেঁয়াজ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ থেকে শুরু হয়েছে। ৪২ দিন এ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ টন পেঁয়াজ ও ৮০ টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জানান, মিয়ানমারে আরও ৬০০ টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ আরও ১৫ টাকা যোগ করে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়। বিকেলের মধ্যে পেঁয়াজ খালাস করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে চলমান সংঘর্ষের কারণেই রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ ছিল।
এমএইচ