হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Share on:
হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহত্যাকাণ্ডের পর, গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তেহরানে ইসরাইলের কাপুরুষোচিত গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
বুধবার (৩১জুলাই) সিঙ্গাপুরে এক ফোরামে বক্তৃতাকালে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এমন মন্তব্য করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হানিয়া হত্যার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোটা ‘বাধ্যতামূলক’ বিষয় ছিল।
এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডে ওয়াশিংটনের জড়িত থাকার বিষয়টি নাকচ করে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি দাবি করে বলেন, ওয়াশিংটন তেহরানে হামাস নেতার হত্যার বিষয়ে অবগত ছিল না এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনোরকম সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার সকালে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবন লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলায় একজন দেহরক্ষীসহ হামাস নেতা শহিদ হয়েছেন।
ঘটনার আরও তদন্ত চলছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসমাইল হানিয়ার শাহাদতের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক। হামাসের এ কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, হানিয়ার ওপর চালানো কাপুরুষোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক জবাব দেওয়া হবে। শত্রুকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানিয়েছেন, ইরানের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএম