এইচএসসিতে পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে আসন বেশি আছে : শিক্ষামন্ত্রী
Share on:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছে, তার চেয়ে আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা কেউ পেশাগত শিক্ষা, কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ আইনে, অনেকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চশিক্ষায় জন্য। সারাদেশ ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ আছে। সেখানেও উচ্চশিক্ষার জন্য যান। কেউ কেউ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করেন। আমাদের সে আসন সংখ্যা আছে, সব মিলিয়ে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছে তার চেয়ে আসন সংখ্যা অনেক বেশি আছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাহিত্য মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, আমরা যা কিছু করি নতুন প্রজন্মের জন্য। কারণ এই বাংলাদেশটি কোথায় যাবে, কেমন বাংলাদেশ হবে, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়ার কারিগর তো আমাদের নতুন প্রজন্ম। তাদের যত প্রতিবন্ধকতা আছে, জঞ্জাল আছে সেগুলাকে অপসারণ করার কাজটি আমরা যারা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত আছি তাদের। কাজটি হলো এ সমস্ত জঞ্জাল, প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নতুন একটা মসৃণ পথ তৈরি করে দেওয়া। তবে প্রত্যেক জন্মকে তার নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫২ বছর পর বাংলাদেশ যেখানে যাওয়ার কথা ছিল আমরা কিন্তু সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। কারণ স্বাধীনতার পরবর্তী ২৮/২৯ বছর আমরা একটা নষ্ট সময় পার করেছি। যখন আমরা সামরিক আধা সামরিক স্বৈরশাসনে ছিলাম। আজকে সারাদেশে একটি রাজনৈতিক দল অপরাজনীতি করছে। তারা দেশ বার বার পিছিয়ে নিয়েছে। আমরা যখন স্বাবলম্বী হতে চেয়ে ছিলাম তারা স্বাবলম্বী হতে চায় না। তারা বলেছে স্বাবলম্বী হওয়া ভালো না কারণ বিদেশ থেকে সহায়তার পাওয়া যায় না। তারা চেয়েছে আমরা সারাজীবন ভিক্ষুকের জাতি থেকে যাই। বাঙালি স্বাধীনভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবে সেটি তারা চায়নি। কারণ তারা একাত্তরে স্বাধীনতা চায়নি।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ইমদাদুল হক মিলন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু প্রমুখ।
এমআই