জাতিকে এগিয়ে নিতে অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি : ডেপুটি স্পিকার
Share on:
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে ভাষা আন্দালন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সকল ধাপের সাক্ষ্য বহনকারী শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকে রোমন্থন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শিকড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসা অনেক তাৎপর্য বহন করে। এ ধরনের আয়োজন সমাজ গঠনে, পরিবার গঠনে এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে খুবই সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। জাতিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন যুগের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বেড়া সরকারি বিপিন বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বেড়া পৌরসভাধীন তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮১-৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, এতিহ্যবাহী বেড়া বিপিন বিহারী হাইস্কুল আমাদের অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বৃহত্তর পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এক সময় প্রতি বছর বোর্ড স্ট্যান্ড করত। কৃতি শিক্ষার্থীদের তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ দেখতে আসত। এই প্রতিষ্ঠানের আমিও একজন ছাত্র ছিলাম। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্লোগান দিতে গিয়ে আমি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা আমলা হতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। আমার এই অর্জন, প্রিয় শিক্ষকবৃন্দের শিক্ষার সুফল ও জনগণের আশীর্বাদ। আমি জাতির পিতার প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনুষ্ঠান শেষে শামসুল হক টুকু প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে সমাহিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল খালেকের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আসিফ শামস রঞ্জন, মঞ্জুর কাদের মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমআই