tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪০ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের বড় জয়


india-20230211181218

ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খল অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যাশিতই ছিল নিজেদের সুবিধামতো স্পিনিং উইকেট বানাবে ভারত। তবুও জেনেশুনেই মৃত্যুকূপে পড়তে হল অজিদের। প্যাট কামিন্সের দলকে তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দিল রোহিত শর্মার দল।


নাগপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ডার-গ্যাভাস্কার সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস এবং ১৩২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। টস জিতে প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৪০০ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ভারতের নেওয়া লিড টপকাতেই অজিদের শেষ ইনিংসে দরকার ছিল ২২৩ রান। কিন্তু সফরকারীরা অলআউট হয় ৯১ রানে। বড়সড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কামিন্সদের।

ব্যবধানের হিসাবে এটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে কোলকাতায় অজিদের বিপক্ষে ইনিংস ও ২১৯ রানের জয়টি ব্যবধানের হিসাবে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় বড় জয়টা এসেছে ২০১২-১৩ মৌসুমে হায়দ্রাবাদে, ইনিংস ও ১৩৫ রানের জয়।


মূলত স্পিনারদের জালেই ফেঁসেছেন অজি ব্যাটাররা। ইনজুরি থেকে ফেরা জাদেজা প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং লাইন। তিনটা উইকেট ছিল রবীদন্দ্রন অশ্বিনের। 

শুরুতে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং সামলে নিচ্ছিলেন মার্নাস লাবুশেন। কিন্তু ৪৯ রানে জাদেজার বলে কাঁটা পড়েন তিনি। এই ৪৯ই এই ম্যাচে অজিদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। পিটার হ্যান্ডসকম্ব, স্টিভেন স্মিথরা অনেক চেষ্টা করেও স্কোরটা ২০০’র ঘরে নিতে পারেননি।

ভারতের ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে চিত্রটা আবার ভিন্ন হয়ে যায়। রোহিত-রাহুলের ওপেনিং জুটিই ছিল ৭৬ রানের। তবে রাহুল ফেরার পর ৯২ রানে আরও ৪ উইকেট হারায় ভারত। সম্ভাবনা ছিল ২৫০ তে অলআউট হওয়ার। কিন্তু রোহিতের ১২০ রানের ইনিংসের পর অক্ষরের ৮৪ ও জাদেজার হার না মানা ৭০ রানে ভর করে ৪০০ রানে থামে ভারত। 

শেষ ইনিংসে অজিদের যম হয়ে ওঠেন অশ্বিন। একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই ইনিংসে জাদেজার ঝুলিতে গেছে ২ উইকেট। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ। বাকিদের মধ্যে কেউই ২০ রানের ঘর পেরোতে পারেননি। ব্যাট ও বল হাতে অনবদ্য অবদান রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা।

এমআই