ইউক্রেনে বিদেশি সেনা পাঠালে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ হবে: রাশিয়া
Share on:
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু ইউক্রেনে ‘অ-পারমাণবিক’ প্রতিরোধকারী বাহিনী মোতায়েনের উপর জোর দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিজয় পরিকল্পনার বিষয়ে এমন বক্তব্য দেন তিনি।
এমন আবহে রাশিয়া হুঁশিয়া দিয়ে বলছে, যদি ইউক্রেনে পশ্চিমা কোনো দেশের সেনা পাঠানো হয়, সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তে পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতে পরিণত হবে। বুধবার মস্কােতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই সতর্কবার্তা দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ হবে।
জাখারোভা বলেন, ‘তিনি (লেকর্নু) পশ্চিমের একমাত্র প্রতিনিধি নন, যিনি ইউক্রেনে বিদেশি সেনা পাঠানোর ধারণা নিয়ে ‘‘চলনা’’ করার চেষ্টা করছেন। এই ধারণার বাস্তব বাস্তবায়ন, আপনি জানেন যে এটি কী হতে পারে। যারা ভুলে গেছেন, আমি তাদের জন্য আবারও মনে করিয়ে দিতে পারি। এমন পদক্ষেপ বিপর্যয়কর পরিণতির সাথে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে সরাসরি সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাবে’।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের ভূখণ্ডে ন্যাটো সেনা মোতায়েন চায়।এ সম্পর্কে জানতে চাইলে লেকর্নু সোমবার বলেছেন, ‘মিত্রদের অবশ্যই এমন একটি সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে’।
রাশিয়ার সম্ভাব্য ভবিষ্যত হুমকি মোকাবেলার উপায় হিসেবে প্রতিরোধের ওপর জোর দেন তিনি। এছাড়া লেকর্নু জেলেনস্কির আলোচিত বিজয় পরিকল্পনার কিছু দিককে ‘আকর্ষণীয়’ বলেও প্রশংসা করেন।
গত সপ্তাহে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে সেনা মোতায়েন করছে।
আর গত শনিবার কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্স ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা সমর্থন করার জন্য উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠাচ্ছে। এতে যুদ্ধের মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এনএইচ