tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:২১ এএম

যে করেণে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে পারছেনা জার্মানি


জার্মানি

সুইজারল্যান্ডের তৈরি অস্ত্র কিনেও ইউক্রেনে পাঠাতে পারছে না জার্মানি৷ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুইজারল্যান্ডের নিরপেক্ষ এবং যুদ্ধাস্ত্র সংক্রান্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার সাংবিধানিক দায়৷ এমনটি উঠে এসেছে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে।


সুইজারল্যান্ড থেকে কেনা যুদ্ধ-সামগ্রী ইউক্রেনে পাঠাতে চায় জার্মানি৷ কিন্তু আমদানির চুক্তি অনুযায়ী অন্য দেশে পাঠানোর আগে সুইজারল্যান্ডের অনুমতি নিতে হবে৷ সেই অনুমতিই পাচ্ছে না জার্মান সেনাবাহিনী৷ দু-দুবার অনুমতি চাওয়া হয়েছে৷ দুবারই তাতে অসম্মতি জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের অস্ত্র রপ্তানি বিষয়ক সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ স্টেট সেক্রেটারিয়েট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (এসইসিও বা সেকো)৷

সেকোর মিডিয়া মুখপাত্র মিশায়েল ভ্যুথরিশ জানান, নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার স্বার্থে এবং দেশের যুদ্ধ সামগ্রী সংক্রান্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার দায়বদ্ধতার কারণে সুইজারল্যান্ডের পক্ষে অনুমতি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷

যে দেশে পাঠানো হবে সেই দেশ যাতে অস্ত্রগুলো আবার অন্য কোনো দেশে না পাঠায়- তা নিশ্চিত করতে গ্রহীতা দেশের কাছ থেকে আগাম নন-রিএক্সপোর্ট ডিক্লারেশন, অর্থাৎ প্রাপ্ত অস্ত্র অন্য দেশে রপ্তানি না করার অঙ্গীকারনামা নেয় সুইজারল্যান্ড৷ এমন অঙ্গীকারনামা না পেলে তারা অস্ত্র রপ্তানি করে না৷ এই আইনটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত৷

মিশায়েল ভ্যুথরিচও সেই আইনের আলোকেই জার্মানির অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করলেন৷ তার মতে, ইউক্রেন এখন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, তাই সুইজারল্যান্ডের তৈরি করা অস্ত্র আগে সরবরাহ করা হলেও পুনঃরপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জার্মান সেনাবাহিনীকে সেই অস্ত্র সুইজারল্যান্ডে পাঠানোর অনুমতি দেয়া আইন অনুযায়ী অসম্ভব৷

তবে, সুইস সরকারের এ অবস্থান ইউরোপের অন্যান্য দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ দেশেও সরকারের এই নীতিকে সবাই সমর্থন জানাচ্ছে না৷ মধ্য-ডানপন্থি দল সেন্টার পার্টির প্রেসিডেন্ট গেরহার্ড প্ফিস্টার মনে করেন, সরকারের উচিত সংবিধানের ১৮৪.৩ ধারা অনুসরণ করে পুনঃরপ্তানিবিরোধী বিধানকে পাশ কাটিয়ে জার্মানিকে অনুমতি দিয়ে দেয়া৷

তিনি মনে করেন, এর ফলে ইউরোপের একটি গণতান্ত্রিক দেশকে সহায়তা করা হবে এবং তাতে সুইজারল্যান্ডের ‘বৃহত্তর স্বার্থ' রক্ষা করা হবে৷

এমআই