সিইসির বিরুদ্ধে রুল জারি
Share on:
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিবন্ধন না দেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জোনায়েদ সাকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্ট এ মামলা করেন।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
তিনি আরও জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে।
পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী উচ্চ আদালতে রিট করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেওয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
এমআই