দ্বীনকে বিজয়ী করতে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : ড. মাসুদ
Share on:
কেবলমাত্র ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী হয়ে থাকার মাঝেও কোনো প্রকৃত সফলতা নেই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ইকামাতে দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এক মহৎ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, তা হচ্ছে সকল মতবাদের উপরে দ্বীন ইসলামকে মনোনিত বিধান হিসেবে গ্রহণ করে তা সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়া।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মুগদা থানা পূর্বের সক্রিয় সহযোগীদের নিয়ে বুধবার (২২মে ) স্থানীয় একটি মিলনায়তনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শামছুর রহমান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও মুগদা থানা পূর্ব আমীর মো. ইসহাক এর সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য কুতুবউদ্দিন আরমান, নেসার উদ্দিন, সোলায়মান হোসেন, মুশফিকুর রহমান, মো. ইউনুছ, মো. ওসামা মুন্সি সুরুজ, শহিদুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আন্দোলনের শপথ নিয়ে মাঠে ময়দানে কুরআন বিজয়ের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। শুধু মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা দিয়ে, ইমাম মুসল্লিদের উপরে সভাপতি সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করে যেমন নামাজের সত্যিকার সহযোগী হওয়া যায় না। তেমনি কেবলমাত্র ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী হয়ে থাকার মাঝেও কোনো প্রকৃত সফলতা নেই। আজকে সারা বাংলাদেশে মসজিদের সামান্য সহযোগিদের আমরা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উপরে দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রেখেছি। এটা জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য। এর ফলে আজকে মসজিদ গুলোতে মুসল্লিতে পরিপূর্ণ থাকলেও সেসব মসজিদে প্রকৃত ঈমানদার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মসজিদে অতিথি মুসল্লি সহযোগিদের যেমন মহান আল্লাহর কাছে প্রকৃত কোনো মূল্য নেই, তেমনি ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামে কেবল অতিথি সহযোগী হয়ে থাকার মাঝেও কোনো কৃতিত্ব নেই।
ড. মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মসজিদ গুলোকে সমাজ পরিবর্তনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখে। কারণ রাসূল (সা) ক্লাব, ইউনিয়ন নয় বরং মসজিদ দিয়েই সমাজ পরিচালনা করেছিলেন। মসজিদ কেন্দ্রিক যতদিন না এই সমাজ পরিচালিত হচ্ছে ততদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে ঢাকা মহানগরীর এই সমাজে ইনসাফ কায়েম করতে। ইনসাফপূর্ণ সমাজ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়তে চাইলে মসজিদ কেন্দ্রিক সকল কিছুকে গড়ে তুলতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সেকাজে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সুন্দর সমাজ সভ্যতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে এই সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনে আমাদের কাজ করার লোকের প্রয়োজন। সমাজে কথা বলার সাথে সাথে ইনসাফপূর্ণ কাজ করার মধ্য দিয়ে সেসব লোক ইকামাতে দ্বীনের বিজয়কে তরান্বিত করবেন। আমরা সমাজে কথাও বলবো কাজও করবো ইনশাআল্লাহ। কেবল সহজ সুন্নাত পালন করে মুসল্লি দাবি নয় বরং কঠিন অবস্থাতেও রাসূলের (সা) সুন্নাত আকড়ে ধরে আমরা সত্যিকার ঈমানদার পরিচয় দিতে চাই।
উল্লেখ্য উক্ত সক্রিয় সহযোগী সমাবেশে উপস্থিত অসংখ্য সহযোগী সদস্যদেরকে কর্মী হিসেবে ঘোষণা করেন মহানগরী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি