নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন না দিলেই ভোগান্তি ও জরিমানা
Share on:
২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে ই-টিআইএন’র স্থলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার রশিদ (প্রাপ্তি স্বীকার বা জমা স্লিপ) বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়। অন্তত ৪০ ধরনের সেবায় আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাকে নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরামর্শ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
কারণ এরপরই রিটার্ন দাখিল করলেই জরিমানাসহ ৬ ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন করদাতারা। একই সঙ্গে নতুন আয়কর আইন-২০২৩ অনুসারে এ বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছে, কোম্পানি ব্যতীত সব করদাতার জন্য ৩০শে নভেম্বর ‘কর দিবস’ যা রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন এবং বিদ্যমান আইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করার কোনো সুযোগ নেই।
যদিও কোনো করদাতা কর্তৃক ৩০ নভেম্বর বা কর দিবসের পরে রিটার্ন দাখিল করতে পারলেও অন্তত ৬ ধরনের সুবিধা পাবে না। যার মধ্যে রয়েছে—
* কর অব্যাহতির সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না অর্থাৎ তার যেকোনো ধরনের কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে
* কর মুক্ত আয়ের সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না অর্থাৎ তার যেকোনো ধরনের কর মুক্ত আয় করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে:
* হ্রাসকৃত হারে কর প্রদানের সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না;
* কোনো ধরনের বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত সুবিধা প্রাপ্ত হবে না:
* আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৭৪ অনুযায়ী তাকে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে।
* আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৬৬ অনুযায়ী তাকে নির্ধারিত হারে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে আয়কর আইনজীবী ইমরান গাজী বলেন, প্রতিবছর আমাদের অনেক করদাতা ৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন দাখিল করার জন্য আসে। তাদের ধারণা ছিল সময় বৃদ্ধির আবেদন করে রিটার্ন দাখিল করলেই সমাধান। কিন্তু নতুন আইনে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পরে সময় বৃদ্ধির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হলে জরিমানা ও কর অব্যাহতির সুবিধা বাদ দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
এনএইচ