tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ২১:২২ পিএম

শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দিন অথবা নিত্যপণ্যের দাম কমান: জিএম কাদের


image-738376-1699540076

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের এ কথা বলেন।


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে তামাশা চলছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় প্রস্তাবিত মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা কিছুই না।

তিনি তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে আবারো সমর্থন জানিয়ে বলেন, অভিযোগ আছে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করতে মাত্রাতিরিক্তি বল প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে অনেক হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করতে শক্তি প্রয়োগ সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য।

আন্দোলনরত শ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুনের মৃত্যুতে তিনি ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি মেনে নিতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান বিরোধীদলীয় উপনেতা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গেল মাসে সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার করার দাবিতে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা।

কয়েক দফা বৈঠকের পর শ্রমিকরা ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা সর্বনিম্ন মজুরি দাবি করেন। কিন্তু মালিকপক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে সরকারের সহায়তায় শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় মালিকপক্ষ। এ প্রস্তাব না মেনে আবারো আন্দোলনে নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, রফতানি শিল্পের শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে নির্দয় আচরণ চলছে। যে শ্রমিকরা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তারাই সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক বৈষম্য চলছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, শুরু থেকেই তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের খুবই সামান্য বেতন দেওয়া হতো। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে তাদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা।

অথচ ওই সময় শ্রমিকরা সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। ২০১৮ সালে প্রবল শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ১২ হাজার ৫০০ টাকায় একটি পরিবারের খাবার খরচই অসম্ভব। এমন বাস্তবতায় তারা বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, পোশাক ও শিশুদের লেখাপড়া চালাবেন কিভাবে?

তিনি বলেন, গবেষণা সংস্থা সিপিডির সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে- বাংলাদেশে ৪ সদস্যের একটি পরিবারে শুধু মাসিক খাবার খরচ ২২ হাজার ৪২১ টাকা। এ গবেষণার পরেও কয়েক দফা দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের।

জিএম কাদের বলেন, মালিকপক্ষ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার যে অজুহাত তুলে শ্রমিকদের স্বল্প বেতন দিতে চাচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।

উৎপাদন বাড়িয়ে হলেও শ্রমিকদের ন্যয্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। এমন বাস্তবতায় তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।