ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সাইবার হামলা ইরানের
Share on:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে ইরানের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলতি আগস্টের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারাভিযান সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা হয়। সেসময় ইরানের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযান টিমের কর্মকর্তারা, তবে ইরান সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল। দ্য গার্ডিয়ানের।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং একাধিক রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে এফবিআই এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে প্রাথমিক তদন্তে হামলায় ইরানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সম্প্রতি যে সাইবার হামলা ঘটেছে, তার সঙ্গে তেহরান সরাসরি সংশ্লিষ্ট। সেই সঙ্গে আমরা আরও জানতে পেরেছি যে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের প্রচারাভিযানেও নজর রাখছে ইরান।
নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য তথ্য চুরির মতো ঘটনার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট ইরানের হ্যাকাররা। তাদের এই ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি করা।
ইরানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ইস্যুতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ইরানে যে রাজনৈতিক হ্যাকারদের সংখ্যা বাড়ছে, সম্প্রতি তা নিশ্চিত করেছে অনেক সংস্থা। গত মাসে মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল।
এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে মস্কোর বিরুদ্ধে সাইবার কারসাজির অভিযোগ তুলেছিল ডেমোক্রেটিক পার্টি। তবে মস্কো সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এনএইচ